বাংলাদেশ উন্নতির শিখরে উঠছে দিনদিন। প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়, প্রথমত উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় প্রবেশ, দ্বিতীয়ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এর যাত্রা।
আসলে ভাবতে কেমন যেনো এক অস্ফুট ভালো লাগা কাজ করে মনোগ্রাহী মনে।
প্রিয় বন্ধুরা,
আসলে কি সত্যি আমরা উন্নত হচ্ছি? নাকি উন্নতির লেভেল লাগিয়ে অনাহারে,অর্থাভাবে, মনোকষ্টে আছি? সত্যিটা কি? এটা কেউ হলফ করে প্রকাশ্যে বলবেনা, গোপনে কষ্ট ভোগ করতে জানে নিরিহ সাধারণ। বাংলার মানুষ অনেক সুখে আছে! এটা বুঝতে হলে চোখ রাখুন বিটিভিতে।
সত্য এবং অতিবাস্তব কথা হলো জনগনের সামনে আমাদের রাজনৈতিক অসাধুরা মিথ্যে উন্নতির লেভেল লাগিয়ে রেখেছে। বাহ্যিকতায় চাকচিক্য থাকলেও বাস্তবে অতি অশান্তি ভোগ করছে গনতান্ত্রিকতায় পূর্ণ বাংলাদেশের মানুষ। অনেক কষ্ট বুকে চেপে বলতে হচ্ছে, যে দেশের প্রতিটা জায়গায় এখনো বিদ্যুত পৌঁছাইনি, দেশে অগনিত মানুষ এখনো স্বপ্ন দেখে তাদের এলাকায় কোনো একদিন বিদ্যুৎ পৌঁছাবে।
বিদ্যুৎ সংযোগযুক্ত এলাকার মানুষও হতাশ থাকে এজন্য যে, কখন বিদ্যুৎ আসবে। অর্থাৎ অতিমাত্রায় লোডশেডিংয়ের কবলে যখন দেশ। এখান থেকে উত্তরণের কোনো পথ যখন আশ্বাস ছাড়া এখনো খোঁজা হয়নি সে দেশে নিরিহ জনগনের টাকা অপচয় করে স্যাটেলাইট স্থাপন এবং সেটা নিয়ে রিতিমতো নাটকের পর নাটক আদৌও কতটা যুক্তিসংগত? প্রশ্ন রইলো কর্তাব্যক্তিবর্গের নিকট।
জনগনের কষ্টের টাকা অপচয় করে বিলাসিতা করা হয়েছে বৈকি আর কিছু নয়। যদি কথা কাজে মিল থাকতো, যদি ১০ টাকায় চাল হতো, প্রতিটা ঘরে নিরিহ জনগন চাকুরী পেত, যদি মেধাবীরা কোটার যাতাকলে পিষ্ট না হতো তাহলে বলতাম বঙ্গবন্ধু,শহীদ জিয়ার সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যে দেশের মেধাবীদের বুকে বঙ্গবন্ধুর ছবি থাকা সত্বেও রাজাকার উপাধি পেতে হয় সে দেশ কতটা উন্নতি করেছে শিক্ষিত জনগনের নিকট ভাবনার খোরাক জোগায়।
বহির্বিশ্বের নিকট ভাবমূর্তি ভাল করতে গিয়ে জনগনের কষ্টকে মাড়িয়ে উন্নতির লেভেল লাগানো তামাশা ছাড়া নেহায়েত আর কিছু নয়।
সবার বোধদয় হোক, দেশ আগে না মৌখিক উন্নতি আগে বিবেকী মনে প্রশ্ন জাগে। স্যাটেলাইট মহাকাশে যাক এবং সাথে সাথে বাংলাদেশের আপামর জনগন সুখে থাকুক,শান্তিতে থাকুক,পরিতৃপ্তিতে থাকুক এই কামনা সর্বক্ষণ।
শাফায়াত আহমাদ
১১/০৫/২০১৮ ইং
বিকাল ৬টা ১০ মিনিট।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন